গোপালগঞ্জ : বর ও কনের বাড়ির মুকসুদপুর উপজেলার গঙ্গারামপুর ও উত্তর গঙ্গারামপুর গ্রামে। আর এই দুই গ্রামকে বিভক্ত করেছে মধুমতি নদীর এমবিআর চ্যানেল। তাদের বাড়ীর দূরত্ব মাত্র ৩’শ মিটার। তারপরেও বাবার ইচ্ছা মেটাতেই হেলিকপ্টারে চড়ে নদীর ওপারে বিয়ে করতে যান বর মিরাজ শেখ। যা এলাকায় আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছে।

জানা গেছে, রোববার গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার দক্ষিণ গঙ্গারামপুর গ্রামের তোয়াজ শেখের ছেলে মিরাজ শেখের সাথে একই উপজেলার পাশ্ববর্তী উত্তর গঙ্গারামপুর গ্রামের আজাদ খোন্দকারের মেয়ে আফরিন আক্তারে বিয়ে সম্পন্ন হয়।

তবে বাবার ইচ্ছা পূরণ করতে ঢাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকায় ভাড়া করে আনা হয় হেলিকপ্টার। কনের বাড়ি ৩০০ মিটার দূরত্বে হলেও ওড়ার সুবিধা ও অন্যান্য কারণে প্রায় ১০ কিলোমিটার ঘুরে হেলিকপ্টারটি অবতরণ করে কনের বাড়ির পাশে। ভাইবোনদের নিয়ে হেলিকপ্টারে থেকে নামেন বর মিরাজ। আর গাড়িপথে ২ হাজার বরযাত্রী যান কনের বাড়িতে। পরে বিয়ে করে বউকে নিয়েই হেলিকপ্টারে বাড়ি ফেরেন বর মিরাজ শেখ।

হেলিকাপ্টারটি ওই গ্রামে অবতরণ করার পর বর ও হেলিকাপ্টার দেখতে ভীড় করে শত শত উৎসুক গ্রামবাসী। বিয়েটি এলাকায় আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়।

এ বিয়েতে গোহালা ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মাতুব্বর, সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল আলম মোল্লা, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী রিয়াজ মিনা, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এম মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ইকবালসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

বর যাত্রীদের একজন সিরাজুল ইসলাম মিনা বলেন, দুপুরের আগেই ঢাকা থেকে একটি ভাড়া করা হেলিকপ্টার বরের গ্রামের জুট মিল সংলগ্ন মাঠে অবতরণ করে। দুপুরে মিরাজ তার ভাইবোন নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে কনের বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। সড়কপথে বরযাত্রীর বাকি সদস্যরা কনের বাড়ি পৌঁছায়।

উত্তর গঙ্গারামপুর গ্রামের শাহজাহান মিয়া বলেন, এটি আমাদের এলাকার ব্যতিক্রমী বিয়ে হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বর ও কনেপক্ষের আতিথেয়তায় আমরা মুগ্ধ।

বর মো. মিরাজ শেখ বলেন, জীবনে বিয়ে একবারই হয়। এছাড়া বাবার ইচ্ছা পূরণ বলে কথা। তাই ঢাকা থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা দিয়ে হেলিকপ্টার ভাড়া বিয়ে করতে যাই।