ঢাকা : বাংলাদেশকে দাঁড়াতেই দিল না ভারত। একেবারে এক তরফাভাবে দিল্লির পরাজয়ের শোধ তুলল রোহিত শর্মার ভারত। যার অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন স্বয়ং অধিনায়কই। বাংলাদেশের ১৫৪ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে মোস্তাফিজ-শফিউলদের কচুকাটা করেছেন রোহিত-শিখরের ওপেনিং জুটি। আমিনুল ইসলাম বিপ্লব যখন শিখরকে বোল্ড করে ফেরালেন ততক্ষণে জয়ের ভিত পেয়ে গেছে ভারত। স্কোরবোর্ডে উঠে গেছে ১১৮। শিখরের রান ৩১। দেখার ছিল বাংলাদেশি বোলারদের ছক্কার সাগরে ভাসানো রোহিত সেঞ্চুরি পান কি না। তাঁকে সেঞ্চুরি বঞ্চিত করলেন সেই আমিনুল। তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন বদলি মিঠুনের হাতে। ৮৫ রানে আউট হলেন রোহিত। ৪৩ বলে ছয় চার-ছক্কায় তিনি এই রান করেন। জয়ের জন্য বাকি কাজটুকু সেরেছেন শ্রেয়াস আইয়ার (২৪*) ও লোকেশ রাহুল (৮*)। ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে ২টি উইকেটই পেয়েছেন আমিনুল।
এদিন কী দারুন শুরুর পর শেষের ব্যাটিংয়ের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ তুলতে পারল ৬ উইকেটে ১৫৩। অথচ এক সময় মনে হচ্ছিল বাংলাদেশ ১৮০ ছাড়িয়ে যাবে। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে অসহায় হয়ে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং। যে তিনজন ৩০ পার করেছেন তারা কেউই বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ফলে রানটাও স্বাস্থ্যবান হয়নি। রাজকোটের মতো ব্যাটিং উইকেটে ১৫৩ রান নিয়ে লড়া্ই করা কঠিন।
কয়েকবার জীবন পেয়েও নিজের ইনিংসটি লম্বা করতে পারলেন না লিটন দাস। প্রথমবার ঋষভ পন্থের ভুলে আউট হওয়া থেকে বেঁচে গেলেন। পরেরবার রোহিত শর্মা লিটনের লোপ্পা ক্যাচ ফেলে দিলেন। দূর্ভাগ্য বাংলাদেশি ওপেনারের। দুবার জীবন পেয়েও করতে পারলেন ২৯ রান। আউট হয়েছেন আবার নাঈমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে।
এরপর সৌম্যকে নিয়ে ভালোভাবেই এগোচ্ছিলেন নাঈম। কিন্তু ওয়াশিংটন সুন্দরকে ছক্কা মারতে গিয়ে তিনি ক্যাচ তুলে দিয়েছেন শ্রেয়াস আইয়ারের হাতে। তার আগে ৩১ বলে ৩৬ রান করেছেন নাঈম। আগের ম্যাচে দুরন্ত খেলা মুশফিক এদিন শুরুতেই আউট হয়ে গেলেন। যুবেন্দ্র চাহালকে লেগ দিয়ে সুইপ করে চার মারতে চেয়েছিলেন। সেটা বোধহয় রোহিত আগেই বুঝতে পেরে ক্রণাল পাণ্ডিয়াকে রেখে দিয়েছিলেন।
ভালো খেলতে থাকা মাহমুদউল্লাহ স্লিপের মাথার ওপর দিয়ে বল বাউন্ডারিতে পাঠাতে চেয়েছিলেন। এর আগে তিনি দুটি বাউন্ডারিও পেয়েছিলেন। কিন্তু মাথার ওপর দিয়ে পাঠাতে গিয়ে বল তুলে দিয়েছেন শিবম দুবের হাতে। ২১ বলে ৩০ রান করেছেন মাহমুদউল্লাহ।
এর আগে দুই ওপেনার লিটন দাস ও মোহাম্মদ নাঈম শেখ বাংলাদেশকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছিলেন। দীপক চাহারের প্রথম ওভার রয়েসয়ে খেলে শেষ বলে বাউন্ডারি মারেন লিটন। দ্বিতীয় ওভার করতে এসে ফের তোপের মুখে পড়েন খলিল আহমেদ। দিল্লিতে ১৯ তম ওভার করতে এসে শেষ চার বলে তাঁকে চারটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এদিনও খলিলের প্রথম ওভারের তিন বলেই বাউন্ডারি মেরে দিলেন নাঈম।
বাংলাদেশ একাদশ : লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ নাঈম, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, আমিনুল ইসলাম, শফিউল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান, আল আমিন হোসেন।
ভারত একাদশ : রোহিত শর্মা, শিখর ধাওয়ান, কেএল রাহুল, শ্রেয়াস আয়ার, ঋষভ পন্ত, ক্রুনাল পান্ডিয়া, শিভাম দুবে, ওয়াশিংটন সুন্দর, দীপক চাহার, যুজবেন্দ্র চাহাল, খলিল আহমেদ।