[bangla_day], [english_date], [bangla_date], [hijri_date]
[bangla_day], [english_date]

শরীয়তপুরে যৌতুকের দায়ে স্ত্রীর মামলার স্বামী হাজতে।

শরীয়তপুরে যৌতুকের দায়ে স্ত্রীর মামলার স্বামী হাজতে।

শরীয়তপুর: শরীয়তপুর জেলার কামাল হোসেন নামে একব্যক্তির একাধিক বিয়ে ও যৌতুকের দায়ে স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে। স্ত্রী চম্পা বেগমের আদালতে দায়ের কৃত মামলায় স্বামী হাজতে।

অভিযুক্ত কামাল হোসেন খান শরীয়তপুর সদর উপজেলার খেলশী ইউনিয়নের দক্ষিণ বিলাশ খান গ্ৰামের মৃত ফজলুর রহমান খানের ছেলে। তিনি এলজিইডির চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী। তার বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ে সহ যৌতুকের দায়ে স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পরিবার ও মামলার সূত্রে জানাযায় কামাল হোসেন খান চাকরির শুরুতেই একটি বিয়ে করে দুই বছর সংসার করেই সে তার স্ত্রীকে তালাক দিয়ে আবার দ্বিতীয় বিয়ে করে শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া থানা বিঝাড়ী গ্ৰামের মোঃ আলাউদ্দিন শেখ এর কন্যা মোসাঃ চম্পা বেগমকে। তাদের ১৫ বছর সংসার জীবনে দুইটি পুত্র ও একটি কন্যা সন্তান মোঃ ফাহিম (১০)মোসাঃ সিনহা (৮) এবং মোঃ ফাহাদ(৫) রয়েছে। সুখ – দুঃখের মাঝে ভালই চলছিল তাদের সংসার হঠাৎ করেই ৩১/০৭/২০২০ইং কামালের আর একটি নতুন আবিষ্কার বিয়ের ১৫ বছর পর স্ত্রীর কাছে তিন লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবি! শুরু হয় দ্বিতীয় স্ত্রী চম্পার উপর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার। এক পর্যায়ে কথার কাঁটা কাটিতে জানা যায় গোপনে আর ও তিনটি বিয়ে করেছেন ঐ কামাল। এই কথা জানার পর চম্পাকে তিনটি সন্তান সহ ফেলে চলে যায় কামাল।

তিন সন্তান নিয়ে অসহায় চম্পা বাধ্য হয়ে গত ১৯-০৮-২০ ইং তারিখে সিআর ১০৫ /২০২০(নড়িয়া) যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালত শরীয়তপুরে একটি মামলা দায়ের করেন। দায়েরকৃত মামলাটি সঙ্গে সঙ্গেই গ্রেপ্তারী প্ররোয়ানা জারী করেন বিজ্ঞ আদালত। দ্বিতীয় স্ত্রী চম্পা বেগমের মামলায় গত ২৪-০৮-২০ ইং স্বামী কামাল হোসেন খান কোর্টে হাজির হলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

মামলার বাদি ৩ সন্তানের জননী চম্পা বেগম বলেন আমার স্বামী কামাল হোসেন আমার থেকে যৌতুকের টাকা চান আমি অভাক হয়ে যাই, ১৫ বছর সংসারে এমন বাহানা করেনি হঠাৎ করে গত ৩১-০৭-২০ তারিখে সে আমার প্রতি অমানবিক নির্যাতন শুরু করে। কারণে অকারণে গা ঘেঁষে ঝগড়া করে এবং মারধর করে একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে শরীয়তপুর জজ কোর্টে মামলা করি। মামলা করার পর জানাযায় তার অপকর্মের গুপনীয় রোমাঞ্চকর তথ্য শুনতে পাই ৫ টা বিয়ে করেছে আমার স্বামী।

একাধিক বিয়ের বিষয়ে চম্পা বেগম জানান আমার মামা শশুর হান্নান খানঁ কোর্টকে বলেন তার ভাগ্নে কামাল হোসেন ৫ টি বিয়ে করে গত মাসে শরীয়তপুর সদর উপজেলার পালং থানার দক্ষিণ বিলাশখান গ্রামের চাঁন মিয়া মোল্ল্যার মেয়ে বিথী বেগমকে অন্য একটি সংসার বিচ্ছেদ ঘটিয়ে কামাল ৫ম তম বিয়ে করে। নড়িয়া উপজেলায় চাকুরী থাকাকালীন
নারী নির্যাতন মামলা খেয়েছিলেন এই কামাল। বর্তমানে কামাল হোসেন খান কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার এলজিইডি অফিসে কর্মরত আছেন।

এই বিষয়ে কামালের মামার সাথে কথা বলে জানাযায় তিনি বলেন কামাল আগে থেকেই নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িত। নারী নির্যাতনের মামলা ও রয়েছে তার একাধিক নারীর জীবন নষ্ট করেছে ঐ কামাল। এলজিইডিতে দারোয়ানের চাকুরী করে প্রচুর টাকা রুজি করে টাকার লোভ দেখিয়ে বিভিন্ন নারীদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক গড়ে তুলেন এবং পরবর্তীতে বিয়ে করেন আমার জানামতে তার বিয়ের সংখ্যা পাঁচটি।

স্থানীয়রা বলেন এমন এহেন কর্মকান্ড করে কামাল কয়েকটি মেয়ের জীবন নষ্ট করেছে সরকারী চাকরি করে বলে ধরা ছোয়ার বাইরে থাকে এই কামাল এবার যেহেতু দ্বিতীয় স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় হাজতে গেছেন তার উপযুক্ত বিচার হওয়া দরকার এবং সে যেন জামিনে না আসতে পারেন আদালতের সে দিকে দৃষ্টিগোচর কামনা করেন গ্রামবাসী।
তারা আরো বলেন কামাল এর স্ত্রীদের ও তার দ্বারা নির্যাতিত নারীরা যেন ন্যায় বিচার পায় ও তার স্ত্রীদের অধিকার আদায়ের ব্যবস্থা করা হোক।

মামলার বিষয়ে বাদি পক্ষ্যের আইনজীবী শরীয়তপুর জজ কোর্টের এ্যাডভোকেট হাবিবুন্নাহার নিপা বলেন আমার দায়ের করা গত১৯-০৮-২০ইং সিআর-১০৫/২০২০( নড়িয়া) যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারা মামলায় আসামি কামাল হোসেনকে বিজ্ঞ আদালত গত ২৪-০৮-২০ ইং জেল হাজতে প্রেরণ করেন। কিন্তু আসামী পক্ষ্যের আইনজীবী জামিন মঞ্জুর করার জন্য নানান কৌশল অবলম্বন করছে। আদালতের প্রতি আমার আর্জি আসামী কামাল হোসেনকে যেন এত দ্রুত জামিন না দেয়া হউক।


error: Content is protected !!