[bangla_day], [english_date], [bangla_date], [hijri_date]
[bangla_day], [english_date]

চাঁদাবাজি মামলায় আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার গ্রেফতার

চাঁদাবাজি মামলায় আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার গ্রেফতার

শরীয়তপুর:শরীয়তপুর সদর উপজেলার আঙ্গারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হাওলাদার চাঁদাবাজি মামলার গ্রেফতার হয়েছেন। মো. মতিউর রহমান মামুন নামে এক ঠিকাদারের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করায় ১৬ এপ্রিল পালং মডেল থানায় এই মামলা দায়ের করে। আজ (২৭ এপ্রিল সোমবার) সকাল ৯টায় আঙ্গারিয়া এলাকা থেকে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করেন মামলার তদন্ত অফিসার পালং মডেল থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক রূপুকর।
মামলার বাদী ঠিকাদারের সাইড ম্যানেজার মজিবর সরদার ও তার ভাই এমদাদ সরদারকে চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের হুকুমে ১০ এপ্রিল মারপিট করে গুরুতর আহত করা হয়। চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হাওলাদারকে হুকুমের আসামী করে মোট ১৪ জনকে এই মামলায় আসামী করা হয়।
আসামীদের মধ্যে আইজুল হাওলাদার ও মহসিন হাওলাদার মাদরাসা ছাত্র ওসমান হত্যা মামলার আসামী। এছাড়াও আসামী আইজুল হাওলাদার গোলগঞ্জ জেলার ঘোষেরচর উত্তর পাড়া গ্রামের সাফায়েত শেখের স্ত্রী মাসকুদা বেগমের দায়ের করা চাঁদাবাজি মামলারও আসামী। এক কথায় আসামীরা সন্ত্রসী ও চাঁদাবাজি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন বলেও এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে।
উল্লেখ্য, বাদীর দায়েরকৃত মামলার এজাহার, ভিকটিম মজিবর সরদার ও এমদাদ সরদারের বক্তব্য এবং স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঠিকাদার মতিউর রহমান মামুন শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে দাদপুর বড় মাদরাসা হতে তুলাতলা কাটাখালী খাল পর্যন্ত ২ হাজার ৮০০ মিটার খাল খননেরর জন্য ঠিকাদার নিযুক্ত হয়। খাল খনন শেষে যে উচ্ছৃষ্ঠ বা অব্যবহৃত মটি থাকে তা ঠিকাদার নিয়ে যায়। তখন চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হাওলাদার সেই মাটি নিতে ঠিকাদারের সাইড ম্যানেজার মজিবরকে বাধা প্রদান করে এবং বলে মটি নিতে হলে তাকে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দিতে হবে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের সাথে আলাপ করে মাটি ক্রয় বাবদ ঠিকাদার রাজস্ব খাতে ১ লাখ ৯ হাজার টাকা প্রদান করেন। চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে অন্যান্য আসামীদের সহায়তায় ঠিকাদারের ম্যানেজার মজিবর ও তার ভাই এমদাদকে মারপিট করে আহত করেন। গুরুতর আহত এমদাদ সরদার এখনও শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মামলার বাদী মো. মতিউর রহমান মামুন বলেন, চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হাওলাদার নাকি তদবির করে খাল খননের এই কাজ এনেছে। এতে তার ৫ লাখ টাকা ব্যায় হয়। আমার ম্যানেজারের কাছে এসে চেয়ারম্যান ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবি করে। টাকা না দিয়ে কাজ করতে নিষেধ করে। এর মধ্যে আমার ১০ দিন কাজ বন্ধ ছিল। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে এই বিষয়টি জানাই। আমি উচ্ছৃষ্ঠ মাটি ক্রয় বাবদ ১ লাখ ৯ হাজার টাকা সরকারের কোষাগারে জমা করি। পরে ইউএনও স্যার আমাকে কাজ করতে বলে এবং স্যার আরও বলে কোন বাঁধা আসলে সে আইনী সহায়তা প্রদান করবে। কাজ শুরু করার পরে আনোয়ার হোসেন হাওলাদার অন্যান্য চাঁদাবাজি ও হত্যা মামলার আসামীদের নিয়ে এসে ৫ লাখ টাকা চাঁদাদাবিতে আমার ম্যানেজার ও তার ভাইর উপর হামলা চালায়।
পালং মডেল থানার পুলিশ উপ-পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা রূপকর বলেন, আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান চাঁদাদাবিতে সরকারি খাল খননে বাধা প্রদান করে। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান লোকজন নিয়ে ঠিকাদারের লোকজনকে মারধর করে। এই বিষয়ে মামলা হয়েছে। আজ মামলার প্রধান আসামী আঙ্গারিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন হাওলাদারকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

 


error: Content is protected !!